টাঙ্গাইলের আখি আক্তার নামের এক যুবতীর বিরুদ্ধে সম্পদশালী ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবী যুবকদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়েতে বাধ্য করা, পরে নির্যাতনের মামলা করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করাই তার মূল পেশা। ইতোমধ্যে তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন একাধিক যুবক।
অভিযোগে জানা যায়, আখি আক্তার (২৮), পিতা: মৃত জাবেদ আলী মিয়া, মাতা: শেফালী আক্তার, সাং-মহদিনগর, পো: আটঘড়ী, থানা: মির্জাপুর, জেলা: টাঙ্গাইল। বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বড়সরুন্ডী গ্রামে বসবাস করছেন। একাধিক যুবকের অভিযোগ, তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করেন এবং পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
সম্প্রতি, মো. জুনায়েদ হোসেন নামের এক যুবক আখি আক্তারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। জানা যায়, নরসিংদী শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মো. নূরে আলম সিদ্দিকের পুত্র মো. জুনায়েদ হোসেন (২৬) ও আখি আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা কাবিন মূল্যে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
প্রায় ১০ মাস সংসার করার পর, হঠাৎ করেই আখি আক্তার মোটা অংকের টাকা দাবি করতে থাকেন। জুনায়েদ হোসেন অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে, গত ২ জুলাই ২০২৪ সালে আখি আক্তার মানিকগঞ্জ সদর আদালতে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে জুনায়েদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আখি আক্তার প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দাবি করছেন এবং টাকা না দিলে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছেন।
জুনায়েদ হোসেন বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত বাউল শিল্পী আখি আক্তারের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply